ফলোঅন এড়ানোর লক্ষ্য নিয়ে চট্টগ্রামে প্রথম টেস্টে তৃতীয় দিনের ব্যাটিং শুরু করেন মিরাজ ও এবাদত। কিন্তু এবাদত ১২ ও মিরাজ ২৫ রানে আউট হওয়ায় ১৫০ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস। তবে ফলোঅনে পড়লেও বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে না পাঠাননি ভারত অধিনায়ক রোকেশ রাহুল।
শেষ খবর না পাওয়া পর্যন্ত ভারত কোনো উইকেট না হারিয়ে ৯ রান তুলেছে।
এর আগে, এর আগে, ভারতের ৪০৪ রানের জবাবে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৩৩ রানে দ্বিতীয় দিন শেষ করে বাংলাদেশ।
মোহাম্মদ সিরাজের করা ইনিংসের প্রথম ওভারের প্রথম বলেই উইকেটরক্ষককে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফিরে যান নাজমুল হোসেন শান্ত (০)। তিন নম্বরে ব্যাট করতে পাঠানো হয় ইয়াসির আলী রাব্বিকে। এতবড় সুযোগকেও হেলায় হারিয়ে ফেললেন তিনি। ৪ রান করেন তিনি। উমেশ যাদবের ১৩৯ গতির ডেলিভারিটি শরীরের বাইরে খেলতে গিয়ে ইনসাইডে-এজে বোল্ড হন ইয়াসির। অভিষিক্ত জাকির হাসানকে নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন লিটন দাস। দু’জনের দৃঢ়তায় ২ উইকেটে ৩৭ রান নিয়ে চা পানের বিরতিতে যায় বাংলাদেশ। লিটন-জাকিরের ৫৯ বলে ৩৪ রানের জুটিটি ভাঙে বিরতির পরপরই।
সিরাজের বলে বল্ড জন লিটন। তার আগে ৩০ বলে ৫ বাউন্ডারিতে ২৪ রান করেন লিটন। দলীয় ৩৯ রানের মাথায় তৃতীয় উইকেট হারায় টাইগাররা।
অভিষেক টেস্ট খেলতে নামা জাকিরের ব্যাটে ছিলেন আত্মবিশ্বাসের ছোঁয়া। শেষ পর্যন্ত তিনি আউট হয়েছেন মোহাম্মদ সিরাজের দুর্দান্ত সুইংয়ে। ৪৫ বলে ৩ বাউন্ডারিতে ২০ রান করেন জাকির। সিরাজের বলটি তার ব্যাট ছুঁয়ে চলে যায় উইকেটরক্ষক রিশাভ পান্তের গ্লাভসে।
একে একে ব্যাটাররা যখন সাজঘরের পথ ধরছিলেন, তখন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান হাল ধরবেন, এমন আশায় ছিলেন ভক্ত-সমর্থকরা। সেই সাকিবও হতাশ করলেন।
রক্ষণাত্মক খেলা সাকিব ২৫ বলে ৩ রান করে হয়েছেন কুলদ্বীপ যাদবের শিকার। টার্ন করা বল তার ব্যাট ছুঁয়ে চলে যায় স্লিপে বিরাট কোহলির হাতে। ৭৫ রানে বাংলাদেশের ৫জন সেরা ব্যাটার ফিরে গেলেন সাজঘরে।
এরপর মুশফিকুর রহিম আর নুরুল হাসান সোহান মিলে জুটি বাধার চেষ্টা করেন। ২২ রানের জুটি গড়ে দলকে ৯৭ রানে নিয়ে যাওয়ার পর নুরুল হাসান সোহান উইকেট দিলেন। কুলদিপ যাদবের ঘূর্ণি বলে ক্যাচ দিলেন শুভমান গিলের হাতে।
২২ বলে ১৬ রান করে আউট হন সোহান। এরপর যেন উইকেট ফেলে আসার উৎসবে মাতেন বাংলাদেশের ব্যাটাররা। ১০২ রানের মাথায় বলবিডব্লিউর শিকার হয়ে গেলেন অভিজ্ঞ ব্যাটার মুশফিকুর রহিম। ৫৮ বল খেলে ২৮ রান করেন তিনি। দলের রান তখন ১০২। তাইজুল ইসলাম মাঠে নেমেই ফিরে গেলেন কোনো রান না করেই।